নারীবাদের ইতিকথা!

 নারীবাদ কী?

এনসাক্লোপিডিয়া ব্রিটেনিকার সংজ্ঞা অনুযায়ী The belief in social, economic, and political equality of the sexes is called feminisms.

অর্থাৎ লিঙ্গভেদে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমতাই হলো নারীবাদ।

নারীবাদের ইতিকথা!
নারীবাদের ইতিকথা!

নারীবাদের ধারণা ও প্রচার

নারীবাদের ধারণা প্রথম ১৮৩৭ সালের দিকে ফরাসি দার্শনিক ও ইউরোপীয় সমাজবাদী 'চার্লস ফুরিয়ে' প্রথম 'নারীবাদ' শব্দটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। "নারীবাদ" (feminism) এবং "নারীবাদী" (feminist) শব্দদুটি ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৭২ এ, আমেরিকাতে১৮৯০ এ, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১৯১০ এ। (According to the Wikipedia)
বর্তমান বিশ্বের মোরল দেশ আমেরিকা সবচেয়ে বেশি ফেমিনিজম নিয়ে গলা ফাটায়। এখন ফেমিনিজমের সংজ্ঞা অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সমান অধিকার পাবে, সমান মূল্যায়ন পাবে। তবে কেন তারা নারীদের প্রেসিডেন্ট বানায় না?
পাশ্চাত্যের দেশগুলো নারীবাদের নামে উন্নয়নশীল এবং গরীব দেশগুলোর মধ্যে বিকৃত ধ্যানধারণা ও ফিতনা ঢুকিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে। অথচ তাদের নিজেদেরই বেহাল অবস্থা।

বাংলাদেশে নারীবাদ

লিঙ্গভেদে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমতাই হলো নারীবাদ। আমি আবার রিপিট করলাম। কেননা বাংলাদেশে কোন ক্ষেত্র বিবেচনা না করেই নারী পুরুষ সমান মানেই নারীবাদ এমন ধারণা প্রচলিত।
কারণ এরা ফার্স্ট ক্লাস গর্দভ। একজন নারী এবং পুরুষ প্রথমত দৈহিক গঠনগত দিক দিয়েই ভিন্ন। তারপর একটা পুরুষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যা করতে পারবে একজন নারীর পক্ষে তা সম্ভব নয়। তথাপি একজন নারী ক্ষেত্রবিশেষে যা কিছু করতে পারবে তা পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আর বাংলাদেশের তথাকথিত মুক্তমনা নারীবাদী তসলিমা নাসরিনের কথা অনুযায়ী একটা পুরুষ রাস্তা দিয়ে খালি গায়ে হাঁটতে পারলে একটা নারী কেন পারবে না? এখন আপনিই বলুন কেন! এই হচ্ছে আমাদের দেশে নারীবাদের অবস্থা। মহান সৃষ্টিকর্তা নারী এবং পুরুষকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এখানে যা দরকার সেটা হলো প্রপার জাস্টিস। সে ফর একটা স্টেডিয়ামে একজন বেটে, একজন মাঝারি ও একজন লম্বা মানুষ খেলা দেখছে এবং তাদের প্রত্যেকের পায়ের নিচে একটা করে ইট। অর্থাৎ, সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আপনিও খুশি, আমিও হাঁসি। দুজন মিলে হাঁসি-খুশি। তবে এখানে চিন্তা করে দেখেন লম্বা মানুষটার কি ইটের দরকার ছিলো আদৌ? আর বেটে মানুষটা কি একটা ইটের উপর দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে পাচ্ছে? উত্তর হচ্ছে না। অর্থাৎ, এখানে সমঅধিকার নিশ্চিত করলে কোন কল্যাণ হচ্ছে না। বরং বেটে লোকটার পায়ের নিচে দুইটা ইট ও মাঝারি জনকে একটা ইট দিলে সমান হচ্ছে। এটাকে বলে জাস্টিস। নারীদের ক্ষেত্রে এমনটা করা উচিত বলে আমি মনে করি। অর্থাৎ, কিছু ক্ষেত্রে অত্যাধিক সুবিধা এবং কিছু ক্ষেত্রে তা নয়। পুরুষের বেলাতেও ঠিক একই।

তথাকথিত শাহবাগীরা বর্তমানে নারীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ওদের মনে টক্সিসিটি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তাদের মতে মডার্ন পোশাক পরিচ্ছদ পরা, পোশাকের স্বাধীনতা, ছেলেদের সাথে ফ্রি মিক্সিং করা, ইভেন একসাথে রাত কাটানোও অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর ইসলামফোবিয়ার কথা তো না বললেই না। তাদের মতে ইসলাম তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। যার যতো ইসলামবিদ্বেষিকতা সে ততো পারফেক্ট ফেমিনিস্ট। যদি মনে করে থাকেন ইসলাম আপনাকে অধিকার দেয় না প্লিজ ঘাটাঘাটি করে দেখুন। স্রষ্টা নারীদেরকে তৈরী করেছেন স্পেশালভাবে। ২.৫ কোটি স্পার্ম থেকে একটি স্পার্ম সিলেক্ট করে ওভাম। অর্থাৎ, সৃষ্টিলগ্নেই কতটুক মর্যাদার অধিকারী তারা। নারীরা স্বামী ও বাবা দুইজনের কাছ থেকেই সম্পদের ভাগ পায়। নারীরা অত্যন্ত সম্মানীর। তারা মায়ের জাতি। তবে এ সম্মানকে বর্তমানে কতিপয় নারীরাই নষ্ট করতে চায়। অর্থাৎ, তারা নিজেদেরকেই মূল্যায়ন করতে জানে না। হিজাব পরার কথা শুনলে গাঁ জ্বলে উঠে। প্লিজ চিন্তা করুন, হিজাব আপনাকে কি কি বেনিফিট দেয় আর কি ক্ষতি করে? এগুলোর উত্তর আমি দিবো না। পাঠক/পাঠিকা আপনার ব্রেইন স্টর্মিং করে বাস্তবতা চিন্তা করুন।
এখন আসি পুরুষদের কথায়। একজন দৈহিক গঠনগতভাবে একজন নারী অপেক্ষা যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে জোরপূর্বক নারীদের কাছ থেকে অধিকার আদায় করতে চায়। মনে রাখবেন যে পুরুষ নারীর গায়ে হাত তুলে সে পুরুষের হাত ভেঙে দেওয়া উচিত। এক অর্থে তারা পুরুষ না বরং কাপুরষ। দেখবেন এরা নিজেদের মা-বোনকে সম্মান করতে জানে না। একজন নারী যদি অশালীনভাবে রাস্তাঘাটে চলাচল করে তবে এসকল খারাপ পুরুষ দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার চান্স অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে হিজাব কিংবা পর্দা আপনাকে তাদের থেকে রক্ষা করবে। ধরে নেন আমি বখাটে দমন করলাম। চৌম্বক যেমন বিপরীত মেরুকে অকর্ষণ করে তেমনি নারী-পুরুষের ক্ষেত্রেও এটা ঘটে।আপনি শর্টস পরে বের হবেন আর পুরুষরা আপনাদের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবে না এটা অস্বাভাবিক এ দেশে। তবে আপনি মনে মনে যা ভাবছেন তার সাথে আমি একমত। পুরুষদের অবশ্যই সংযত হতে হবে, তাদেরকে ভালো  হতে হবে। তাই বলে কি আপনি সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন?
এর সাথে যদি দ্বিমত পোষণ করেন তাহলে জিনিসটা এমন আপনার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাহিরে রাখলে ইঁদূর তা কেটে ফেলে। তাই বলে কি আপনি নথিপত্রগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন নাকি ইঁদূর দমন করার চেষ্টা করবেন?
বিবেক খাটান। সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার।
দিনশেষে একজন নারীই আরকজন নারীর বড় শত্রু! ভুল বলে থাকলে জানায়েন। তাই পুরুষকে প্রতিযোগী না ভেবে পরিপূরক ভাবাটাই শ্রেয়!
ধন্যবাদ। 

বেশ অনেকদিন পর লিখতে বসলাম। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

মোঃ সিহাব উদ্দিন মাহি 

এডমিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url