থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে কিছু কথা
থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে আমার কিছু কথা আছে। যার যার ইচ্ছা হবে তারা পড়বে। যার ইচ্ছে হবে না সে স্কিপ করতে পারো। নিজের ভালো পাগলও বোঝে। যাহোক, গান-বাজনা আর নানান শব্দের কারণে বাসায় টিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই লিখতে বসেছি। অনেক দিন ধরে আমার অনুরাগ.কম ব্লগেও লিখা হয় না। আর সেকারণেই লিখলাম। আর পাশাপাশি ফেসবুকেও পাবলিশ করলাম লেখাটি।
যাহোক, একদিকে যখন দেশের উত্তরাঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ কনকনে শীত অনুভব করে, একটা শীতের কাপড়ের জন্য মুখ চেয়ে বসে থাকে, ঠিক তখনই আমাদের মতো দেশে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় এই থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে।
তোমরা যে এই থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন কর তার ফজিলতটা কী? একথাটি কেন বললাম জানো, তোমরা তো অতি আনব্দের কারণে গান-বাজনা, নাচানাচি করো। তাই না? থার্টি ফার্স্ট নাইটেও করো। তার মানে বোঝা যাচ্ছে এর নিশ্চই কোন না কোন ফজিলত আছে। এর ফজিলত বলে মনে করেন অনেক বিজ্ঞানমনষ্ক লোক, যারা ধর্মের ভুল ধরতে সর্বদা প্রস্তুত, বছরের প্রথম প্রহরে যে কাজ করা হয় সেটাই সারা বছর হতে থাকে। এমন এক ধারণা। আচ্ছা, তোমাদের আরেকটা কথা বলি, যারা গান বাদ্য বাজায় তারা কিন্তু ইমানদার। কারণ আযান আর নামাজের সময় কিন্তু তারা গান অফ রাখে।🤣
তোমরা কী জানো থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের উদ্দেশ্য কী? আমরা তো হুজুগে মাতাল! যা দেখবো তাই করতে হবে। এটি যারা করেন তাদের একটি বিশ্বাসের দিক আছে এবং সেটি হলো- ' বছরের প্রথম দিনের প্রথম ঘন্টাটি যদি উল্লাস করে কাটানো যায় তবে সারা বছর উল্লাসে কাটবে'। তাই তো? তোমরা কী জানো এই বিশ্বাস কোথা থেকে আমদানিকৃত? এটা প্যাগান বা প্রকৃতিপূজারিদের বিশ্বাস থেকে এসেছে। তুমি কী জানো ইরানের অগ্নিপূজারিরা বছরের প্রথম দিনটিকে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালন করতো। তুমি বলবে, আমি তো এটা ধর্ম হিসেবে পালন করি না। কিন্তু ভাই এটা ধর্মের জিনিস তো। এটা এসেছে প্যাগান ও অগ্নিপূজকদের কাছ থেকে। অগ্নিপূজকেরা বছরের প্রথম দিনটিকে নাম দিয়েছিলো 'নওরোজ' ফারসিতে যার অর্থ নতুন দিন। তারা বছরের এই প্রথম দিনটিকে বাৎসরিক উৎসব হিসেবে পালন করতো। আস্তে আস্তে তা খ্রিষ্ট ধর্ম ও আজকে আমরা বাঙালি মুসলমানরা পর্যন্ত হুজুগে মাতাল হয়ে এসকল অনুষ্ঠানে মেতে গিয়েছি।
পবিত্র কুরআনে আছে- "আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন চায় তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।" (সূরা আলে-ইমরান; আয়াতঃ ৮৫)
আমাদের জন্য তো মহান আল্লাহ তায়ালা বছরে দুইটি উৎসব রেখেই দিয়েছেন। ১/ ঈদ-উল-ফিতর, ২/ ঈদ-উল-আযহা। যেখান থেকে আমরা ত্যাগের শিক্ষা নিতে পারি। ঈদ-উল ফিতরে যাকাত, সাদকায়ে ফিতর। ঈদ-উল আযহায় ত্যাগের শিক্ষা, গোস্ত বিতরন, সকলের মুখে থাকে হাসি। যাদের মধ্যে মানবতা আছে তারাই কেবল বুঝতে পারবে এর মধ্যে যে কী আনন্দ।
আর যারা দিনে ১০ ওয়াক্ত গাঁজা খায়, যাদের বিবেক কাজ করে না তারাই তো এসব থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো অনুষ্ঠানকেই প্রাধান্য দিবে। চলুন মানবতাকে জাগিয়ে তুলি। শুধুশুধু টাকা নষ্ট না করে তা ভালো কাজে ব্যায় করি।
আমার নিজেরই মাথাব্যাথা করছে বাসার পাশের সাউন্ড বক্সের গানের শব্দে। এসব কী বন্ধ হবে না? বক্সে বাজছে ইংরেজি গান। আর সেগুলো কোন মানের আর সেগুলোর লিরিক্স কেমন তা তো বুঝতেই পারছেন! আল্লাহ! এদের হেদায়েত দান করো। সঠিক বোধ দান করো। যারা এসকল কাজ করছে তাদের কতজন ভালো বলছে আর কতজন খারাপ বলছে? একটু ভাবো বন্ধু। চিরকাল থাকতে পারবে না দুনিয়াতে। এই আমোদ-ফূর্তি থাকবে না। তাই সকলে সাবধান হও ও দ্বীনের পথে আসো। আল্লাহ তৌফিক দান করুন~ আমিন।
আমার মনের মধ্যে অনেক কথা আসলেও লিখতে পারি নি, বক্সের সাউন্ডের কারণে। লিখার মধ্যে কোন ভুল থাকলে বলবা। ঠিক আছে? আসসালামুয়ালাইকুম।
ওয়ালাইকুম উসসালাম।হুম ভাই ভালো বলছো
ধন্যবাদ মোফাসসেল ভাইয়া❣️
Good job Mahi.I appreciate you.
Thank you❣️