অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি
অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি।
অনলাইন ইনকাম বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি জিনিস। এর মধ্য দিয়ে অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে। তাই এই পোস্টে অনলাইন ইনকাম পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
হ্যাঁ, অনলাইন থেকে আয় অবশ্যই সম্ভব।
আপনারা মনে মনে বলবেন, কই কতো অ্যাপ্সেই তো চেষ্টা করলাম। কিছু তো পেলাম না।
আমার উত্তর হলো, পাবেন কী করে। কেননা অধিকাংশ আর্নিং অ্যাপ্সই হলো স্ক্যাম অর্থাৎ প্রতারণা করে নিজেদের লাভ করে গ্রাহকদেরকে পেমেন্ট না দেওয়া। তবে আমি সব অ্যাপ্স এর কথা বলছি না। বিশেষ করে খেয়াল করবেন অনেক পিটিসি সাইট আছে যারা অ্যাড দেখায় আপনাদের ও কিছু নিদৃষ্ট কয়েকটা অ্যাডের পর ক্লিক করতে বলে। এতে ওদের লাভ ও আয় হচ্ছে। কিন্তু আপনাকে অনেক অ্যাপ্সই টাকা না দিয়ে তাদের মার্কেট বন্ধ করে দিচ্ছে। যারা অনলাইন থেকে আয়ের সঠিক উপায় না জেনে আলগা লাফায় তারাই মুলত প্রথমে এরূপ প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। বিশ্বাস করেন, আমি নিজেও অনেক অ্যাপ্স এ চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিনিময়ে তেমন কিছু হয়নি বরং সময় নষ্ট করা হচ্ছে। তাই বলে মনে করছেন, আমি বুঝি ঐ অ্যাপ্স এ কাজ করা বন্ধ করার থেকে অন্য কাজ করে অনলাইন থেকে অনেক টাকা আয় করে ফেলেছি? সেটা আদৌ না। কেননা আমি বর্তমানে যা করছি তা হচ্ছে ব্লগিং এবং আমি এখনো অ্যাডসেন্স পাইনি। তাই আমার ইনকাম এখনো শুরু হয় নি। ইনশাআল্লাহ আমি সেটা পেলে আমারও আর্নিং শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু আমি ব্লগে লিখি টাকার জন্য শুধু! তা কিন্তু নয়। এটা আমার শখও বলতে পারেন। যাহোক, ব্লগিংকে প্রোফেশনালভাবেও নেওয়া যায় এবং ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা যায়। শুধু ব্লগিং না আজকের এই পোস্টে আমি সেরা কয়েকটা অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো। আশা করি মনযোগ সহকারে পড়বেন।
আপনি কি আমার মতো একজন ছাত্রমানুষ বা একজন চাকুরিজিবী? কোন সমস্যা নেই। এই পোস্ট থেকে আপনি আশা করি আপনার জন্য সেরা একটি অনলাইন আয়ের মাধ্যম বেছে নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আর বকবক না করে চলুন শুরু করা যাক।
ব্লগিং করে ইনকাম (Income by Blogging)
আনলাইন ইনকাম পদ্ধতির জন্য ব্লগিং অন্যতম সেরা এবং ক্রিয়েটিভ একটি জনিস। শাব্দিক অর্থে ব্লগ হচ্ছে ব্যক্তিগত দিনলিপি বা বলতে পারেন অনেকটা ব্যক্তিগত ডায়েরির মতো। এখন ভাবতে পারেন ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখেও আবার ইনকাম করা যায়? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। কিন্তু আপনি-আমার মতো অতি সাধারণ লোকের ব্যক্তিগত জীবণ নিয়ে কেউ পড়তে আসবে না। এই ব্লগিং করার ক্ষেত্রে মানুষের দুই উদ্দেশ্যে থাকতে পারে। একটি হলো শখ এবং আরেকটি হলো টাকা ইনকাম। আপনি কী করতে চান? আমি নিশ্চিত যে আপনি অবশ্যই ইনকাম করতে চান। যেহেতু আপনি অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি লিখে গুগলে সার্চ করেছেন বা আমার এই পোস্টের টাইটেল এ ক্লিক করেছেন।
যাহোক, আপনি যেহেতু প্রফেশনাল্ভাবে ব্যপারটা নিবেন বা আপনার যেহেতু ইনকাম করার ইচ্ছা, তাই আপনাকে ভালো করে শুরু করতে হবে।
অর্থাৎ এক কথায় বলতে ব্লগিং বলতে লেখালেখিকে বোঝায়। যারা ব্লগিং করে তাদেরকে বলা হয় ব্লগার।
কীভাবে শিখবো লেখালেখি?
ব্লগিং একটি ক্রিয়েটিভ জিনিস এবং আপনাকে সেটি প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ভালো করে শিখতে হবে।
আমি নিজেও একজন ব্লগার। আমি কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে এটি আর ভালো করে আয়ত্ব করার চেষ্টা করছি। যত বেশি আমি লিখবো ততো আমার অভিজ্ঞতা হবে এবং আস্তে আস্তে কন্টেন্টগুলো অনেক প্রফেশনাল হবে। আপনার ক্ষেত্রেও তাই কিন্তু। এটা সবসময় মনে রাখবেন, অভিজ্ঞতার কাছে কিন্তু প্রতিভাও হেরে যায়। আশা করি এর আর উদাহরণ দিতে হবে না। তাই ব্লগিং করার সময় অবশ্যই আপনাকে লেখার চর্চা করতে হবে। ভুল হলে হোক! আপনাকে লিখতে হবে, কী-বোর্ড চাপতে হবে। তাহলেই কেবল আপনি ভালো লিখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
কোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে শুরু করবো?
আপনার কাছে কি যথেষ্ট টাকা আছ? আপনার কাছে যথেষ্ট টাকা থাকলে ওয়ার্ডপ্রেস অবশ্যই আপনার জন্য উত্তম হবে। এখানে আপনি অনেক সু্যোগ সুবিধা পাবেন। যেকোন সমস্যা অতি সহযে সমাধান করতে পারবেন। এক কথায় ব্যপারটি অনেক সহজ পাশাপাশি কাস্টম বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার তো কোন অভাবই নেই। তাই আপনার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকলে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা করা উচিত।
ওয়ার্ডপ্রেসঃ https://wordpress.com/
আপনার কাছে যদি যথেষ্ট পরিমাণ টাকা না থাকে তবে অবশ্যই ব্লগার আপনার জন্য সেরা। কিন্তু ব্লগারে সেসকল সু্যোগ সুবিধা পাবেন না,
টা পাবেন ওয়ার্ডপ্রেসে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং এটি গুগলের নিজস্ব।
ব্লগারঃ https://www.blogger.com/
আপনি ব্লগারে ডোমেইন এবং হোস্টিং ফ্রি তে পাবেন। কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলে ব্লগারে কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে আপনাকে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে যদি প্রোফেশনালি শুরু করতে চান। এই ডোমেইন, হোস্টিং, কীভাবে সাইট খুলতে ইত্যাদি নিয়ে পরে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
ব্লগিং সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ঃ
ব্লগিং করার জন্য আপনাকে এই বিষয় নির্বাচন করতে হবে যে, আপনি কোন বিষয় বা ভাষায় ব্লগিং করতে চান। তবে আগেই বলে রাখি ইংরেজি সাইটে বাংলা সাইটের তুলনায় কয়েকগুণ আর্নিং করতে পারবেন। আপনি আপনার ব্লগে মূলত গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাড বসিয়ে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইত্যাদিসহ আরো অনেক উপায়ে উপার্জন করতে পারবেন।
আশা করি ব্লগিং সম্পর্কে মোটামোটি ভালো একটা ধারণা পেয়েছে। ভবিষ্যতে এই সাইটে ব্লগ সাইট খোলা কাস্টমাইজেশন ইত্যাদি নিয়েও কন্টেন্ট লিখা হবে। আপনি যদি ক্যরিয়ার হিসেবে ব্লগিং সিলেক্ট করে থাকেন তবে আপনার জন্য রইলো শুভকামনা। লেগে থাকেন, ভালো আর্নিং করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম ( Income by Freelancing)
অনলাইন ইনকাম পদ্ধতির অন্যতম সেরা একটি উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং কথাটি অনেকের কাছে পরিচিত আবার অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হতে পারে। কিন্তু আউটসোর্সিং কথাটি বেশিরভাগ মানুষের কাছেই পরিচিত। অনেকে মনে করে দুইটা এক জিনিস। মূলত ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এক কথা নয়। ফ্রিল্যান্সিং হলো গ্রাহক বা ক্লায়েন্টের কাজ করে তার কাছ থেকে নিদৃষ্ট পরিমাণ অর্থ নেওয়া। কিন্তু আউটসোর্সিং হচ্ছে অন্য কারো মাধ্যমে নিজের কাজ করিয়ে নেওয়া। আউটসোর্সিং শব্দটি থেকেই কিন্তু বিষয়টি অনেকটা বোঝা যায়। অর্থাৎ যারা অন্যদের মাধ্যমে কাজ করায় তাদের কাজটিকে বলা হয় আউটসোর্সিং এবং তাদেরকে বলা হয় আউটসোর্সার। কিন্তু যারা আউটসোর্সিং এর কাজ করে দেয় তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সারদের কাজ করে। আর ফ্রিল্যান্সারদের পেশাটাকে বলে ফ্রিল্যান্সিং। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
বর্তমান সময়টাতে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে মানুষ সবচেয়ে বেশি আয় করছে। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ফ্রিল্যান্সার আছে যারা অনেক টাকা আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে যেমন নিজের আয় হয় তেমনিভাবে দেশও সমৃদ্ধি লাভ করে।
মূল কথা হলো, বললেই তো আর হু করে ফ্রিল্যান্সিং এ নেমে পরা যাবে না। এজন্য আপনাকে কোন না কোন বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে বা কাজ জানতে হবে।
যে যে ধরণের কাজ আপনি করতে পারবেন-
- ওয়েব ডিসাইন।
- গ্রাফিক্স ডিসাইন।
- কন্টেন্ট রাইটিং।
- ভিডিও এডিটিং।
- ছবি এডিটিং।
- ডাটা এন্ট্রি।
- এসি ই ও।
- মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ।
- মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টের কাজ।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক অনেক কাজ আছে যা আপনি করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। কেননা গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট কাজ করার পর আপনাকে রেটিং দিবে এবং আপনার কাজ সম্পর্কে মন্তব্য করবেন। সেখানে যদি আপনি খারাপ রেটিং পান তবে আপনার জন্য কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
আমরা সকলেই জানি ইংরেজি হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাষা। আপনার ক্লায়েন্ট তো অবশ্যই ফরেনার বা বিদেশী হবে। তার কাজ করার সময় তো আপনার তার কী সমস্যা বা কী কাজ করতে হবে তা আপনাকে বোঝতে হবে। আর সে তো অবশ্যই বাংলা ভাষা বলবে না। যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করবে ইংরেজি ভাষা। তাই আপনাকে ইংরেজি ভাষার উপর কিছুটা দক্ষতা থাকতে হবে। তাই বলে মনে করবেন না আমি বলছি যে, একেবারে আপনি এইইএলটিএস করে আসুন তা না। আপনার ক্লায়েন্টের কথা ভালোকরে বুঝতে পারলে এবং ক্লায়েন্টকে বোঝাতে পারলেই হবে। আর আশা করি এজন্য মাধ্যমিল লেভেলের ইংরেজিই যথেষ্ট। তাছাড়া গুগল ট্রানসলেট ত আছেই আপনাকে সাহায্য করার জন্য। ভালো করে না বুঝলে এর সাহায্য নিতে পারবেন পরবর্তী সময়ে।
কীভাবে কাজ পাবো বা আদৌ কাজ পাবো? এমন প্রশ্ন আপনার মনে অনেকবার আসতে পারে। আপনি যদি কোন এক বিষয়ে দক্ষ হোন এবং কয়েকটা ক্লায়েন্টের কাজ ভালো করে করতে পারেন, তবে তারা আপনাকে ভালো রিভিও দিবে। এরপর আপনার কাজের আর অভাব হবে না। অপরদিকে, কোন ক্লায়েন্টের যদি বড় কোন একটা কোম্পানি থাকে এবং যদি সে আপনার কাজে সন্তুষ্ট হয় তবে সে আপনাকে তার কোম্পানির জন্য একটি নিদৃষ্ট সময়ের জন্য হায়ার করে রেখে দিবে। অর্থাৎ আপনি ভালো কাজ করতে পারলে ক্লায়েন্ট ধরে রাখতে পারবেন এবং সেখান থেকে অনেক ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আজকে এই পর্যন্তই। এটি নিয়ে আরেকটি পোস্ট লিখা হবে। দেখতে নজর রাখুন এই সাইটে।
ইউটিউব থেকে ইনকাম
অনলাইন ইনকামের জন্য ইউটিবের জুড়ি মেলা ভার। ইউটিউবের নাম আমরা সবাই তো শুনেছি। ইউটিউবে আমরা প্রায় সকলেই বিভিন্ন ভিডিও দেখে থাকি। ইউটিউব বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ভিডিও শেয়ারিং সাইট। আপনাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন জাগে, আচ্ছা আমরা ইউটিউবে যে ভিডিওগুলো দেখি তা যারা কষ্ট করে কেন বানায়? তাদের কী কোন লাভ হয় বা তারা কী কোন টাকা পায়? হ্যাঁ, অবশ্যই। যারা ইউটিউবে ভিডিও বানান তারাও অ্যাডসেন্স অ্যাডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকে। বড় বড় ইউটিউব চ্যানেলগুলো ব্যপক পরিমাণ টাকা উপার্জন করে থাকে। আপনারা যখন ভিডিও দেখেন, তখন দেখেন যে এর মধ্যে অ্যাড আসে। আর এই অ্যাডগুলো থেকেই পাবলিশার তথা যারা ইউটিউবার তারা ইনকাম করে থাকে। আপনি যদি ইউটিউবিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের কন্টেন্ট বানাতে হবে। এতে আপনি যেমন পাবেন লক্ষ লক্ষ দর্শকের ভালোবাসা তেমনি উপার্জন করতে পারবেন একটি নিদৃষ্ট পরিমাণ অর্থ। অনেকে বলে আমার ক্যামেরা নেই, হেন নেই, তেন নেই ইত্যাদি। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তবে আপনি ৮-১০ হাজার টাকার মোবাইল দিয়ে অনায়াসে শুরু করতে পারেন ইউটিউবিং। আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে পারবেন। জনপ্রিয় কিছু বিষয় সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলোঃ গেমিং ভিডিও। রোস্ট ভিডিও। আপনি যদি খাবার রান্না সম্পর্কে ভালো জানেন, তবে রান্না বা রেসিপি নিয়েও ইউটিউবিং করতে পারেন। টেকনোলজি। ভ্লগ ভিডিও। মিউজিক ভিডিও। ইমোশনাল ভিডিও। মিউজিক ভিডিও। ফানি ভিডিও। অ্যানিমেশন ভিডিও। তাছাড়া আপনি আরো অনেক প্রকার ভিডিও বানাতে পারবেন। মনে রাখবেন অন্যের ভিডিও কখনো কপি করার চেষ্টা করবেন না।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন ইনকামের জন্য অভিনব এবং অনেক ভালো একটি পদ্ধতি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার মাধ্যমে সেল বা বিক্রি করে দেওয়া এবং সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন অর্থাৎ বিক্রিত পণ্য থেকে টাকার নিদৃষ্ট একটি অংশ পাবেন। আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান, তবে আপনার অনেক ভিজিটর প্রয়োজন হবে। কেননা আপনার কাছে যদি যথেষ্ট পরিমাণ ভিজিটর বা ট্রাফিক না থাকে তাহলে আপনি সংশিষ্ট পন্য বিক্রি করতে পারবেন না। এটি করার জন্য আপনাকে হয় একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে নাহলে একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। আপনার ভিজিটরগুলো যদি বাইরের দেশের হয় তবে আপনি অনেক বড় বড় কোম্পানিগুলোর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং অনেক পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি যদি বাংলাদেশের ভিজিটর বেশি পান তবে ইনকাম বলতে গেলে অনেকটাই কম হবে। কেননা বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই কোন সাইট থেকে কোন একটা প্রোডাক্টের লিংক থেকে কেনে না। আপনি আপনার কথাই ধরেন। মনে করেন একটি মোবাইল কিনবেন আপনি। আপনি কোন সাইটে ঢুকে একটি রিভিও দেখলেন এবং নিচে তা কেনার জন্য একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক দেওয়া আছে। আপনি কিন্তু সেখানে ক্লিক করবেন না। নিজেকে একটু প্রশ্ন করে দেখুন। কিন্তু যারা বিদেশী আছে তাদের মধ্যে এতটা সংকোচ কাজ করে না। অর্থাৎ তারা সচরারচরই এমন করে থাকে। তাই আপনার কাছে যদি ভালো অডিয়েন্স বা ভিজিটর থাকে তবে আপনার জন্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে বর্তমানে বিভিন্ন সাইট আছে। তার মধ্যে অন্যতম। যেমনঃ আলিবাবা, আলিএক্সপ্রেস ইত্যাদি।
সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম
সিপিএ মার্কেটিং অনলাইন ইনকাম পদ্ধতির আরেকটি অভিনব ইনকাম পদ্ধতি। CPA এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Cost Per Action. সিপিএ মার্কেটিং করে বর্তমানে অনেক মানুষ ভালো পরিমাণ ইনকাম করছে। কোন একটি নিদৃষ্ট কাজের বিনিময়ে জন প্রতি একটি নিদৃষ্ট পরিমাণ অর্থ লাভ করা। সিপিএ মার্কেটিং এ নানান প্রকার কাজ থাকে। ফর্ম ফিল-আপ করা, ইমেইল সাবমিট করা, সারভে করা, অ্যাপ ইনস্টল করানো। আপনি আবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং সিপিএ মার্কেটিংকে একসাথে মিশিয়ে জগাখিচুড়ি বানাবেন না। দুটোর কাজ কিন্তু প্রায় একই রকম। একটাতে প্রোডাক্ট সেল করতে হয় এবং অপরটাতে লিড জেনারেশন করতে হয়। আপনি বিভিন্ন দেশ ও এলাকা অনুসারে বিভিন্ন কমিশন পাবেন। আপনি প্রতটি ক্লিকের জন্য অর্থাৎ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফার প্রমোট করতে গিয়ে $0.50 to $50 পর্যন্ত পেতে পারেন। সেরা কয়েকটি সিপিএ সাইট হলো-
তাছাড়া আরো অনেক অনেক সিপিএ মার্কেটিং এর জন্য সাইট আছে। আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। যদি ক্যরিয়ার হিসেবে এটি বাছাই করে থাকেন তবে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভকামনা। পরিশ্রম ও ধৈর্যের সাথে কাজ করুন। সফল হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
বিঃদ্রঃ রিসেলিং করে ইনকাম | চুক্তিতে কোন সাইটে লেখালেখি করে ইনকাম |ওয়েবসাইট বানিয়ে তা বিক্রি করে ইনকাম| ড্রপশিপিং করার মাধ্যমে ইনকাম| ছবি বিক্রির মাধ্যমে ইনকাম| এগুলির মাধ্যমেও অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। যদি এগুলো নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট চান, তবে কমেন্ট করে ফেলুন। আপনার মতামতের উপর ভিত্তি করে ও নাম মেনশন করে ইনশাআল্লাহ পোস্ট পাবলিশ করা হবে।
সকলকে ধন্যবাদ। আসসালামুয়ালাইকুম।
সুন্দর হয়েছে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ🥰