জীববিজ্ঞানের ইতিহাস ও ভৌত শাখাসমূহ
জীববিজ্ঞান এর মূল ধারণা ও কুইজ।
জীববিজ্ঞানের মূল ধারণা ও কুইজ সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়েছে এই কন্টেন্টে। প্রথমে আমরা জীববিজ্ঞান ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানবো ও তারপর এর ৫ টি ভৌত শ্রেণিবিভাগ নিয়ে বিস্তারিত জানবোঃ
জীববিজ্ঞানের ইতিহাস ও ভৌত শাখাসমূহ। |
জীববিজ্ঞান কী?
প্রথমেই চলো আমরা জেনে নিই জীব্বিজ্ঞানের সজ্ঞাটা আসলে কী?
জীববিজ্ঞানঃ জীববিজ্ঞান হচ্ছে সকল বাস্তুজগৎ এর বিজ্ঞান।
Biology: Biology is the science of all living things.
এখন প্রশ্ন হলো জীববিজ্ঞান বা Biology নামটা কীভাবে উদ্ভত হলো।
এখানে Biology শব্দটি দুইটি অক্ষরের মিশ্রণে তৈরী হয়েছে।
Bios এবং Logos
Bios শব্দের অর্থ জীবণ এবং Logos শব্দের অর্থ বিজ্ঞান।
আর এই দুইটি শব্দ মিলেই হয়েছে Biology বা জীববিজ্ঞান।
Biology বা জীববিজ্ঞান আবার দুইভাগে বিভক্ত।
যথাঃ ১/উদ্ভিদবিদ্যা বা Botany .
২/প্রানীবিদ্যা বা Zoology .
আবার অন্যদিকে জীববিজ্ঞানকে দুইটি শাখায় ভাগ করা যায়।
যথাঃ ১/ভৌত (Pure) ও
২/প্রয়োগকৃত (Applied)
জীববিজ্ঞানের ইতিহাসঃ
আমরা সকলেই জানি সবকিছুরই একটা না একটা ইতিহাস রয়েছে তেমনি জীববিজ্ঞানের ও রয়েছে অনেক ইতিহাস। জীববিজ্ঞানে বিভিন্ন জীব ও তাদের জীবণ নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা করা হয়। জীববিজ্ঞান প্রতিনিয়তই আমাদের জীবণে ভূমিকা রেখে আসছে। মোটা দাগে বোঝার জন্য বিশ্বের সকল পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ জীব ও জড়। যাদের জীবণ আছে ইয়াদেরঅকে বলে জীব ও যাদের জীবণ নেই তারা হচ্ছে জড়। তোমরা জেনে অবাক হবে যে, জীববিজ্ঞানই সেই বিজ্ঞান যেটা কিনা প্রাচীন। আর বর্তমানে আমরা যে জীববিজ্ঞান জানি সেটাকে আধুনিক জীববিজ্ঞান বলা হয়। আর মজার ব্যপার এই যে, আধুনিক জীববিজ্ঞানের রয়ছে অনেক শাখা ও উপশাখা অর্থাৎ এর একটা বিস্তারিত ও বিশাল ক্ষেত্র ্রয়েছে।
তোমরা কী জানো জীববিজ্ঞান ও জীবনের মূল একক কী?
তোমরা কী জানো জীববিজ্ঞান ও জীবনের মূল একক কী?
তোমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানে আবার অনেকেই হয়তো জানে না। যা হোক, তোমরা জেনে অবাক হবে যে জীববিজ্ঞান ও জীবনের মূল একক হলো কোষ।
এখন প্রশ্ন হলো কোষ কাকে বলে?
উত্তরঃজীবদেহের গঠণ ও কাজের একককে কোষ বলে।
The biological cell is the full unit of life.
বংশগতি বিদ্যার একক কী?
বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে হয়তো এখানে অনেকেই হয়তো জানে বংশগতি বিদ্যার একক কী? আবার অনেকেই হয়তো জানে না। যা হোক, আমরা এখন এই বিষয়টা সম্পর্কে জানবো।
প্রশ্নঃ বংশগতি বিদ্যার একক কী?
উত্তরঃ জিন।
বন্ধুরা, তোমরা কী জানো, বর্তমানে আমরা যে জীববিজ্ঞান বা Biology শব্দটি শুনি সেটি প্রথম কোথায় ব্যবহৃত হয়?
হ্যাঁ, আমরা বর্তমানে আমরা যে জীববিজ্ঞান বা Biology শব্দটি শুনি সেটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮০০ সালে এবং তা জার্মানিতে। তোমরা জেনে অবাক হবে যে, ইংরেজ প্রাণীবিজ্ঞানী টমাস হেনরি হক্সালি জীববিজ্ঞানকে একটি একত্রীকারক শাস্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় ব্যপক ভূমিকা রয়েছে। প্রাচীনকাল হতেই পৃথিবীতে জীববিজ্ঞান চর্চা হয়ে আসছে। আর তোমরা জানো কী, বিজ্ঞানী অ্যরিস্টটলকে জীববিজ্ঞানের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ ইতিহাস ঘাটলে, এই মহান বিজ্ঞানীরই নাম আগে আসে।
যা হোক, আমরা জেনে গেলাম জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত হিতিহাস।
এখন আমরা ভৌত শাখা ও এর ৫ টি শ্রেণিবিভাগ নিয়ে বিস্তারিত জানবোঃ
অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বা Morphology:
অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বা Morphology কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠণ নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বা Morphology বলে।
এটি জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখার অন্যতম শাখা।
অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বা Morphology কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথাঃ ১/ অন্তঃঅঙ্গসংস্থানবিদ্যা বা Internal morphology.
২/ বাহ্যিক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বা External morphology.
শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা বা Taxonomy:
শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা বা Taxonomy কাকে বলে
জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার প্রক্রিয়াকে শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা বা Taxonomy বলে।
এটিও জীববিজ্ঞানের একটি অন্যতম ভৌত শাখা।
শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা বা Taxonomy এর জনক কে?
উত্তরঃ সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যরোলাস লিনিয়াস।
তোমরা তো শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা বা Taxonomy সম্পর্কে এতক্ষণ জেনেছো, তোমাদের মনে নিশ্চই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই শ্রেণীবিন্যাসের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যটা কী? যা হোক এখন আমরা জানবো শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে।
শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যঃ
১/ প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা।
২/ জীবজগৎকে ভিন্নতার দিক দিয়ে আলোকপাত করা।
৩/ আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা।
৪/ পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সঠিকভাবে উপস্থাপণ করা।
৫/ প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা।
৬/ সর্বোপরি , সমগ্র জীবজগৎ এবং মানবকল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবগুলোকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষে বিশেষভাবে সচেতন হওয়া।
শারীরবিদ্যা বা Physiology:
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো শারীরবিদ্যা বা Physiology এর আবিষ্কারক কে?
উত্তরঃ স্যার উইলিয়াম হার্ভে। Sir Willium Hurvey.
শারীরবিদ্যা বা Physiology কাকে বলে?
উত্তরঃ যে শাখায় প্রাণিদেহের পুষ্টি, ক্ষরণ, রেচন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে শারীরবিদ্যা বা Physiology বলে।
এ শাখাটিও জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখার আলোচিত বিষয়।
টিস্যুতত্ত্ব বা Histology:
টিস্যুতত্ত্ব বা Histology কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের টিস্যুর গঠন ও টিস্যু সম্পর্কিত আলোচনা করা হয় তাকে টিস্যুতত্ত্ব বা Histology বলে।
Histo শব্দের অর্থ- টিস্যু। ও
Logy শব্দের অর্থ- জ্ঞান।
আর এই দুইটি শব্দের সমন্বয়ে তৈরী টিস্যুতত্ত্ব বা Histology শব্দটি।
ভ্রণবিদ্যা বা Embryology:
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় ভ্রণ, ভ্রণের ক্রমবিকাশ ও বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভ্রণবিদ্যা বা Embryology বলে।
Embryo শব্দের অর্থ ভ্রণ এবং
logy শব্দের অর্থ বিজ্ঞান।
আর এই দুইটির সমন্বয়ে ভ্রণবিদ্যা বা Embryology শব্দটি এসেছে।
আমরা এতক্ষণ জীববিজ্ঞান ও তার শাখা সম্পর্কে জেনেছি। আমরা এটি নিয়ে আরো একটু আলোচনা করার পর কুইজের ব্যবস্থা করবো ও এর মাধ্যমে বন্ধুরা তোমরা নিজেদেরকে যাচাই করতে পারবে।
এখন আমরা কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর করবো এবং কুইজ করে নিজের জ্ঞানকে যাচাই করবোঃ
১/ Bios শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ জীবণ।
২/ Logos শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ জ্ঞান।
৩/টিস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয় কোথায়?
উত্তরঃ হিস্টোলজি।
৪/ভ্রণবিদ্যা এর ইংরেজি কি?
উত্তরঃ Embryology
৫/Biology বা জীববিজ্ঞান কয়ভাগে বিভক্ত?
উত্তরঃ দুইভাগে।
৬/ তোমরা কি জানো শারীরবিদ্যা বা Physiology এর আবিষ্কারক কে?
উত্তরঃ উইলিয়াম হার্ভে।
৭/ যে শাখায় প্রাণিদেহের পুষ্টি, ক্ষরণ, রেচন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে কী বলে?
উত্তরঃ শারীরবিদ্যা।
৮/জীববিজ্ঞান কী?
উত্তরঃ বাস্তুজগৎ এর বিজ্ঞান।
৯/শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা বা Taxonomy এর জনক কে?
উত্তরঃ সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যরোলাস লিনিয়াস।
১০/ বর্তমানে আমরা যে জীববিজ্ঞান বা Biology শব্দটি শুনি সেটি প্রথম কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ জার্মানিতে।
১১/বংশগতি বিদ্যার একক কী?
উত্তরঃ জিন।
১২/ভ্রণবিদ্যা বা Embryology কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় ভ্রণ, ভ্রণের ক্রমবিকাশ ও বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভ্রণবিদ্যা বা Embryology বলে।
১৩/কোষ কাকে বলে?
উত্তরঃজীবদেহের গঠণ ও কাজের একককে কোষ বলে।
১৪/জীববিজ্ঞান ও জীবনের মূল একক কী?
উত্তরঃ কোষ।
১৫/ কোন শাখায় প্রয়োগ বেশি?
উত্তরঃ ফলিত শাখায়।
এখান থেকে আরো অনেক প্রশ্ন করা যেতো, কিন্তু করা হয়নি। যা হোক, কোন সমস্যা নেই কুইজের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের এর বিষয়টির উপর কতটুকু দক্ষতা সৃষ্টি হয়েছে তা জানতে পারবে।
বন্ধুরা কুইজ আমাদেরকে সাহায্য করবে আমাদের নিজেদেরকে সঠিকভাবে যাচাই করতে। তো বন্ধুরা , আর দেরি না করে চলো আমরা কুইজ খেলি ও নিজেকে যাচাই করি। কয়টা হয়েছে তা নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবে না।
বিঃদ্রঃ আমাদের এই ওয়েবসাইটটি বড় হওয়ার পর আমরা আরো কুইজ খেলবো ও বিজয়ীদেরকে পুরষ্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
কুইজ
তো চলো শুরু করি। মাত্র ৫ টি প্রশ্ন। আশা করি সকলেই পারবে।
মোট পয়েন্টঃ ১০০
Very good
tnx bro...