স্রষ্টা কেন আমাদের মন্দ কাজের কোন দায় নেন না?
স্রষ্টা কেন আমাদের মন্দ কাজের কোন দায় নেন না?
"স্রষ্টা কেন আমাদের মন্দ কাজের কোন দায় নেন না?" এটি নাস্তিকতা ও নাস্তিকদের প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম। তাছাড়া শয়তানের প্ররোচনায় ভালো মুসলমানদের মনেও অনেক সময় এম প্রশ্ন জাগে। আজ আমরআ এটি সম্পর্কে জানবো ও যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করবো।
স্রষ্টা কেন আমাদের মন্দ কাজের কোন দায় নেন না? |
মানুষের মনের মধ্যে থাকা প্রশ্নটি ও নাস্তিকদের করা প্রশ্ন স্রষ্টা কেন আমাদের মন্দ কাজের কোন দায় নেন না সম্পর্কে একনজর।
আমরা মানুষ। আমরা পৃথিবীতে কী করে এলাম, কীভাবে বেঁচে আছি ইত্যাদি নিয়ে আমাদের মানবমনে তো অবশ্যই প্রশ্ন জাগে। জানতে ইচ্ছে করে ব্যপারগুলো। এটা যে শুধু আমাদের মনে নয় তা নয়, আমাদের পূর্বপুরুষদের মনেও এমন প্রশ্ন জাগতো। এ নিয়ে তো বিজ্ঞানে একটি শাখা আছে যার নাম বিবর্তনবিদ্যা বা Evolution. যা হোক, আমাদের একজন স্রষ্টা আছে। এটা যারা বিশ্বাস করে তাদেরকে আস্তিক বলা হয়। অপরপক্ষে, যারা এটা বিশ্বাস করে না তাদেরকে বলা হয় নাস্তিক। বর্তমানে আমাদের দেশসহ অনেক জায়গায় নাস্তিক রয়েছে। তারা আপনাকেও তাদের মতো নাস্তিক বানিয়ে ফেলবে। তাই সকলে সদা সাবধান থাকবেন। সাবধান থাকবেন বলতে নিজের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন। নাস্তিকেরা হয়তো আপনার হাতে একটি ফিলসোফির বই হাতে ধরিয়ে দিলো। আপনি অনেক কিছু পড়লেন। পড়ে এমন এমন প্রশ্ন আপনার মনে দানা বাঁধলো যে সেটা কাউকে বলতে পারছেন না। আবার আপনার মনে হতে থাকবে, সেখানে তো সঠিক যুক্তি দেওয়া ছিলো। বিজ্ঞানের যুক্তি। আসলে আজ পর্যন্ত, আল কুরআনের একটি আয়াতও ভুল প্রমাণিত হয়নি। কিন্ত আপনার কুরআন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে এই ফাঁদে পা দিবেন ও এভাবেই শুরু হবে আপনার নাস্তিকতা। প্রথমে সন্দেহ। আর তারপর সন্দেহ থেকেই অবিশ্বাস। কেমন জানি প্রেমের কাহিনীর মতো ব্যপারটা। যা হোক, আমাদের ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে। নাস্তিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তবে তা অস্র দিয়ে নয়। জ্ঞান দিয়ে।
নাস্তিকদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। তারা এটা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের প্রশ্নগুলোর অনেকগুলো যেমন ভিত্তিহীন তেমনি অদ্ভত। যেমনঃ আমি একটা উদাহরণ দিয়ে আপনাদেরকে বোঝাই, তবে আপনাদের বুঝতে অনেক সুবিধা হবে। কেউ যদি এমন প্রশ্ন করে, " আল্লাহ কী এমন জিনিস বানাতে পারেন, যা তিনি নিজেই তুলতে পারবেন না।" আচ্ছা, প্রশ্নটির উত্তর আপনি নিজেই দেওয়ার চেষ্টা করুন। যারা প্রশ্নটি ভালো করে খেয়াল করেননি বা ভালো করে পড়েননি তারা এবং সিংহভাগ লোকই বলবে হ্যাঁ। কিন্তু এখানে হ্যাঁ বললে যে শুধুমাত্র একটাদিককে শিকার করা হচ্ছে যে তিনি বানাতে পারেন কিন্তু তুলতে পারেন না। তার মানে তিনি সর্বশক্তিমান নন। হ্যাঁ, আমি জানি আপনারা সকলে অনেক অবাক হচ্ছেন। এখন যে এই প্রশ্নটি করবে তাকে যদি বলা হয়, " আপনি কী এখনও মদ্যপান করেন?" প্রথমেই শর্ত দিতে হবে উত্তরটা হ্যাঁ অথবা না বলতে হবে। যদি সে হ্যাঁ বলে সে এখনও এ কাজটি করে অর্থাৎ সে অপরাধী। অপরপক্ষে, যদি সে না বলে তবে বোঝা যায়, "সে আগে করতো, এখন করে না"। তার মানে সে করতো। সে অপরাধী। ব্যপারটা এরকম। এরকম ইলোজিক্যাল প্রশ্ন নাস্তিকদের মখু বরাবরই শোনা যায়। যা হোক, আমি টপিকসের বাইরে যাচ্ছি না। ইনশাআল্লাহ, এই প্রশ্ন নিয়ে পরবর্তিতে আরেকটা পোস্ট লিখা হবে। যেখানে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মূল উত্তরঃ
তো চলুন এখন ফিরে যাই মূল টপিকে, স্রষ্টা কেন আমাদের মন্দ কাজের কোন দায় নেন না?
আপনারা বলে থাকেন যে, আরে ভাই আমার ভাগ্যটা কী আল্লাহ এমন করেই লিখেছেন। আল্লাহ কী আমাকেই দেখছে, আমার সাথে কেন এমন হলো?
এখানে আপনি আল্লাহকে দোষ দিচ্ছেন। কিন্তু আল্লাহ আপনাকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। আপনি যা ইচ্ছে তা করতে পারেন। আল্লাহ শুধু জানেন আপনি তা করবেন। আর এর কারণেই তিনি লিখে রেখেছেন আপনার তকদির বা ভাগ্য। মূলত, এটা আপনারই কর্মফল। আপনাদের অনেকের মনে হয়তো ব্যপারটা হযবরল লেগে গেল। যা হোক, কোন সমস্যা নেই একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
মনে করেন, আপনি ও আপনার বন্ধু যখন পদ্মা নদী একদম ভরা তখন লঞ্চ দিয়ে যাচ্ছেন। যাত্রাপথে ঝড় উঠলো। আর লঞ্চটি তলিয়ে গেলো। তখন আপনার বন্ধু দুইটা লাইফ জ্যকেট নিয়ে একটা নিজে পরলো এবং আরেকটা আপনাকে দিলো। এখন আপনি যদি তা পরেন, তাহলে আপনি বেঁচে যাবেন। আর না পরলে মারা যাবেন। এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে, আপনি কী বাঁচবেন নাকি মরবেন?
এর জন্য কী আপনি আপনার স্রষ্টার উপর দায় চাপাতে পারবেন? কিন্তু আল্লাহ তায়ালা 'আলিমুল গইব' মানে সবকিছু জানেন। আর জানেন বলেই লিখে রেখেছন। এ নিয়ে পরে আমরা বিষধ আলোচনা করবো। আপনারা শুধু এই ব্লগের সাথে থাকুন। ইনশাআল্লাহ অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এটাতো গেলো এক উদাহরণ। এখন আরেকটা দিই যা হচ্ছে মূল, কোন নাস্তিক যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে,'স্রষ্টা কেন আমাদের মন্দ কাজের কোন দায় নেন না?' তখন আপনি এই উদাহরণটি দিতে পারেন। "যেমনঃ বলতে পারেন এইভাবে যে, মনে করেন আপনি যন্ত্রের আবিষ্কারক। এই যন্ত্রের মাধ্যমে অনেক মানুষ উপকার পেল। অপরপক্ষে একজন সেটার অপব্যবহার করে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হলো। এখন যদি বলি, আপনার কারণে লোকজন লোক অনেক উপকার পেয়েছে। ক্রেডিটটি আপনার। যদি বলি, আপনার বানানো যন্ত্রের কারণে একজন মানুষের ক্ষতি হয়েছে। তখনও কী এর দায়ভার কী আপনি গ্রহণ করবেন?"
সেই নাস্তিক অবশ্যই উত্তরে না বলবে।
আর সৃষ্টিকর্তা ঠিক একইভাবে আমাদের সৃষ্টি করেছেন। হাত, পা , মস্তিষ্ক দিয়েছেন। আরো দিয়েছেন, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি। তাই আমরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারি, অপরাধ করতে পারি, ভালো কাজ করতে পারি। এটা সম্পূর্ণ আমাদের উপর নির্ভর করে। স্রষ্টা 'আলিমুল গাইব' হওয়ার কারণে সকলকিছু জানেন ও তা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। আর একারণে আমরা কোন খারাপ কাজ করলে স্রষ্টা তার দায় নেন না।
উৎসর্গঃ [ ড.জাকির নায়েক ও আরিফ আজাদ]
Thanks, very good post.
Thanks 🥰
Very good post
এইগুলো নাস্তিকদের অবান্তর প্রশ্নগুলোতে সজোরে লাথি মারে,,,
You are right.