মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শৈশব ও কৈশোর
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শৈশব ও কৈশোর
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শৈশবঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল আবদুল্লাহ এবং মাতার নাম ছিল আমিনা। তিনি তার মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় পিতাকে হারান এবং তিনি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাই ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। আর এই ঘটনা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাতা বিবি আমিনা নিজ মুখে বর্ণনা করেছেন। ঘটনাটি এমন ছিলো যে,
"মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বিবি আমিনা গৃহমধ্যে সম্পূর্ণ একাকিনী ছিলেন। হঠাৎ তিনি আকাশের দিক হতে একটা প্রচন্ড আওয়াজ শুনতে পেয়ে অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। পরক্ষণেই একটি অবিকল মুরোগাকৃতির একটি পাখি উড়ে এসে তাদের ঘরে প্রবেশ করল এবং তার পালক দুইটি বিবি আমিনার মস্তক স্পর্শ করল। আর তাতে বিবি আমিনার অন্তর হতে সমস্ত প্রকার ভয়-ভীতি দূর হলো এবং তিনি বেশ আনন্দ ও আরাম বোধ করতে লাগলেন। তখন মোরগটি কিছু মিষ্টিজাতীয় জিনিস বিবি আমেনার মুখে ঢুকিয়ে দিল। বর্ণান্তরে আরো এমন ঘটনা ও তার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ আরো ঘটনা দেখা যায়।"
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে জন্মের পর সর্বপ্রথম চাচা আবু লাহাবের দাসী সোয়েবা তাকে মাতৃস্নেহে কিছু সময় লালন-পালন করেন। তারপর শিশু মুহাম্মাদকে বিবি হালিমার কাছে পাঠানো হলো। তিনি সেখানে বড় হলেন ও থাকতে শুরু করলেন। আর ছোটবেলা থেকেই তিনি রাখেন তার আদর্শের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কেননা মাতা হালিমার কাছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছাড়াও আরেকজন দুধ পান করতেন। আর সেই শৈশবে মহাম্মদ (স:) তার দুধ্মাতা হালিমার এক স্তনের দুধ পান করতেন ও অপর স্তনের দুধ তার ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। যখন থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিবি হালিমার ঘরে গেলেন তখন থেকে বিবি হালিমার ঘরে উন্নতি ও সুখের ছায়া দেখা দেয়। তখনই অনেকে হয়তো এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে, এটা কোন সাধারণ শিশু নয়। আর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর বিবি হালিমার এতো মায়া মনে গেথেছিলো যে তিনি তাকে দিতে চাচ্ছিলেন না। তবুও অন্যের সন্তান তিনি কোন অধিকারেই বা রাখেন? এই কথা বিবেচনায় তিনি শিশু মুহাম্মদকে তার মাতা আমিনার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। মাতা আমিনা অনেক আদর সোহাগে তাকে লালন পালন করতে থাকে। কিন্তু মায়ের আদর তার বেশিদিন তার কপালে স্থায়ী হলো না। মাত্র ছয় বছর বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার মাতাকে হারান। এবার পিতা-মাতা দুজনকেই হারিয়ে তিনি এতিম হয়ে গেলেন। এরপর তিনি তার দাদা আব্দুল মুত্তালিবের স্নেহ ও ভালোবাসায় বড় হতে থাকেন। কষ্টের ব্যপার এই যে, দাদার আদরও তার কপালে বেশিদিন জোটেনি। মাত্র আট বছর বয়সে মারা যান তার দাদা। এরপর তার লালনপালনের দায়িত্ব চাচা আবু তালিবের হাতে পরে ও চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে তিনি বড় হতে থাকেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কৈশোর।
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব মারা যাবার পর চাচা আবু তালিবের উপর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর লালন পালনের দায়িত্বভার পরে। কিন্তু তার চাচার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। অপরদিকে কিশোর মুহাম্মদ (সাঃ) অনেক কর্মঠ ছিলেন। তিনি কারো গলগ্রহ হয়ে থাকা একদম পছন্দ করতেন না। তিনি তার চাচার অসচ্ছল পরিবারের আর্থিক অবস্থার কিছুটা উন্নতির জন্য হলেও সাহায্য করতেন। বাড়তি আয়ের জন্য রাখালদের সাথে ছাগল-মেষ চরাতেন। আর রাখাল বালকদের জন্য তিনি ছিলেন আদর্শ। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে অঙ্গনে একবার হাত দিয়েছেন তা যেন সোনাতে রূপান্তরিত হয়েছে। রাখালদের সাথে তিনি সবসময় ভালোবাসা,সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বজায় রাখতেন। আর রাখালদের মধ্যে কোন প্রকার ঝগড়া-বিবাদ হলে তিনি পালন করতেন বিচারকের ভূমিকা। তিনি তার চাচার ব্যবসা-বাণিজ্যেও সহায়তা করতেন। একবার চাচার সাথে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়াও গিয়েছিলেন। এ সময় বহিরাগত এক পাদ্রির সাথে দেখা হয়। সেই বহিরাগত পাদ্রি তাকে অসাধারন বালক ও শেষ ববি হিসেবে ভবিষ্যতবাণী করেন। আর সেই পাদ্রি আবু তালিবকে এ ব্যপারে সাবধানও করেন। কারণ শত্ররা তার ক্ষতি করতে পারে।
Nice content❤️❤️❤️
মুহাম্মদ (স.)এর যৌবন কাল দয়া করে pust করবেন ৩০০শব্দের মধ্যে অনুগ্রহ করতেছি।
🙏🙏🙏🙏
করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ,,,
খুব সুন্দর করে লিখেছেন ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
Youth of Muhammad (s.) Please pass the pist in 400 words.
🙏🙏🙏🙏
দয়াকরে নবীজির শিশুকাল রচনা পোষ্ট করুন
পৃথিবীর এই নবী ভালো